চকরিয়ার উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন বমুবিলছড়ী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সপ্তাহে সাতদিন খোলা থাকার কথা থাকলেও একদিনই খোলা থাকে বলে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় জনসাধারণ।
১৮'ই অক্টোবর (রবিবার)সরেজমিনে গেলে দেখা যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটিতে তালা ঝুলছে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ তুলে বলেন,আমাদের এ ইউনিয়নটি চকরিয়া উপজেলা থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন ও দূরের একটি ইউনিয়ন। এ এলাকার মানুষ সেবা পেতে হলে যেতে হলে পার্শবর্তী উপজেলা লামায়।এ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি হওয়ার পর এ ইউনিয়নের মানুষ অনেকটা স্বস্তি পেয়েছিলো।
স্থানীয় একজন অভিযোগ তুলে বলেন, এটি সপ্তাহে ৭দিন খোলা থাকার কথা থাকলেও খোলা থাকে একদিন। ঐ একদিনও মানুষ যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাননা।
আরেকজন জানান,এখানে ফ্রী পরামর্শ ও ঔষধ পাওয়ার কথা থাকলেও দেখলেই ৫০-১০০টাকা নিয়ে নেন।টাকা নিলেও কোনো কষ্ট লাগতো না যদি নিয়মিত খোলা থাকতো।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য বলেন,এটি ৫তারিখের আগে নিয়মতি খোলা থাকলেও এখন একেবারেই বন্ধ। তবে কেন বন্ধ এবং কেন এতো অবহেলা আমাদের প্রতি আমরা জানিনা।আমরা চাই অতিদ্রুত এ ইউনিয়নের একটিমাত্র স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি খোলা হউক।তারজন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে আমরা আকুল আবেদন করছি।
এবিষয়ে চকরিয়া বমু বিলছড়ী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা বিবি মরিয়ম সাকী বলেন,আমি ঐখানে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি।আমার মূল দায়িত্ব মানিকপুর। সপ্তাহে একদিন যাওয়ার কথা থাকলেও যাতায়াত দূরে হওয়ার কারণে নিয়মিত যেতে পারিনা।যাওয়ার জন্য রেডি হলেও অনেকসময় হঠাৎ কাজ পড়ে যায়।তবুও সময় পেলে যায়।আর যারা অভিযোগ তুলেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা (কর্মকর্তা) তাপস দত্ত বলেন,ঐখানে একজন নিয়মিত ভিজিটর থাকার কথা থাকলেও লোকবল সংকটের কারণে সপ্তাহে একজন নিয়মতি অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন।তবে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করব,বিষয়গুলো বিবেচনা করব।গত ২ মাস আগেও গিয়েছিলাম, আবার যাব।